আমাদের লক্ষ কুরআন ও সুন্নাহর সত্যিকারের উৎস থেকে রুকিয়া নামে পরিচিত চিকিৎসার মাধ্যমে উপদেশও সহায়তা প্রদান করা।
রুকিয়ার মাধ্যমে বদ নজর বা কুদৃষ্টি, হিংসা, জ্বিনের সমস্যা এবং যাদুর সংশ্লিষ্ট রোগগুলো নির্নয় বা বাতিলকরা। ইনশাআল্লাহ আমাদের কাছে পাবেন সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি, নির্দেশনা ও পরামর্শ।
ইসলামে রুকিয়া চিকিৎসা হচ্ছে, কোরআন মজীদ পাঠ করা, আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা এবং বিভিন্নমসনুন দোয়ার দ্বারা রোহানি অসুস্থতার চিকিৎসার পদ্ধতি, রোগী ও ইমাম বা রাকী সবার অবশ্যই সম্পূর্ন বিশ্বসরাখতে হবে যে, উপকার ও ক্ষতি কেবল আল্লাহই করতে পারেন, নিরাময় করার মালিক একমাত্র আল্লাহ।
কুরআন থেকে নিরাময়ের প্রমাণ
“হে মানুষ! তোমাদের জন্য তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে তোমাদের অন্তরের রোগ-ব্যাধি নিরাময়ের জন্যে আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে হেদায়াত বা পথনির্দেশনা।” ;(ইউনুস, আয়াত:৫৭)
আর আমি কুরআন নাযিল করি যা মুমিনদের জন্য শিফা ও রহমত, কিন্তু তা যালিমদের ক্ষতিই বাড়িয়ে দেয়। (ইসরা, আয়াত ৮২)
সহীহ হাদীস থেকে রুকিয়ার প্রমাণ
আবি সাঈদ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণনা করেন যে, জিবরীল (আলাইহিস সালাম) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বললেন, ইয়া মুহাম্মদ! আপনি কি অসুস্থতা বোধ করছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তিনি (জিবরীল) বললেনঃ আল্লাহর নামে আপনাকে ঝাড়-ফুঁক করছি- সে সব জিনিস থেকে, যা আপনাকে কষ্ট দেয়, সব প্রাণের অনিষ্ট কিংবা হিংসুকের বদ নযর থেকে আল্লাহ আপনাকে শিফা দিন; আল্লাহর নামে আপনাকে ঝাড়-ফুঁক করছি।
(সহীহ মুসলিম)
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী উম্মু সালামা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার স্ত্রী উম্মু সালমা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) এর ঘরে একটি বালিকার চেহারায় (কাল বা হলুদ) দাগ দেখে বললেন, তার নযর লেগেছে, তার জন্য ঝাড়-ফুঁক কর।
(সহীহ মুসলিম)
Add comment
Comments